ইসলামী ছাত্র শিবির জুলাই পরবর্তী সময়ে ছাত্র রাজনীতির মডেল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি মো. আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, এজন্যই শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচিত করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে ছাত্র শিবির ছিল সবচেয়ে মজলুম সংগঠন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বিশ্বজিৎকে আমরা শিবির সন্দেহে হত্যা করতে দেখেছি। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর শিবির সন্দেহে কাউকে মারার বৈধতাকে প্রশ্ন করা হয়। তবে তখনও মারার পর কেউ শিবির প্রমাণিত হলে সকলে এ বিষয়ে নিশ্চুপ থাকতো। ২ হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একেকটি জ্ঞান বিজ্ঞানের হাব। সেখানে গবেষণা খাতে অনেক অর্থ বরাদ্দ থাকে। তবে আমাদের দেশে গবেষণা খাতে বরাদ্দ অনেক কম; যা মেধার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হয় না। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে এসব অর্থের বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমাদের এসব রাজনীতির নামে নোংরামি বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনীতির একেকটি হাবে পরিণত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভালো মানুষ তৈরি করা। জ্ঞান নির্ভর সমাজ ও মানুষ তৈরি করা। জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এই কাজ চালিয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি।
বিতর্কে বিরোধী দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতিহাস বিভাগ আর সরকারি দল হিসেবে রানার্স আপ হয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।ফাইনাল বিতর্কে সেরা বিতার্কিক হয়েছেন জয়ী দলের রুকসানা মিতু।
‘জকসু নির্বাচনে এই সংসদ অরাজনৈতিক প্রার্থীদের সমর্থন দিবে’ মোশনের উপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় মোট ২৪ টিম অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক টিমে ৩ জন করে বিতার্কিক অংশগ্রহণ করে। বিতর্কটি ট্যাব ফরমেটে হয়। ট্যাব পর্বে প্রত্যেক টিম ৩ রাউন্ড বিতর্ক করার সুযোগ পায়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, আর সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সাজিদের বড় বোন ফারজানা হক। অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতা হিসেবে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।