৯ বোর্ডের মধ্যে এগিয়ে ঢাকা, পিছিয়ে কুমিল্লা বোর্ড

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করে।

ফল প্রকাশ উপলক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বিস্তারিত ফল তুলে ধরেন।

এবারের ফলাফলের তুলনামূলক চিত্রে দেখা গেছে, নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। আর ফলাফলে পিছিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড।

ঢাকা শিক্ষা রোর্ডে এ বছরের মোট পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। পাসের সবচেয়ে কম কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডের পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

এছাড়া রাজশাহীতে ৫৯ শতাংশ ৪০, যশোর ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫২ দশমিক ৫৭, বরিমালে ৬২ দশমিক ৫৭, সিলেটে ৫১ দশমিক ৮৬, দিনাজপুরে ৫৭ দশমিক ৪৯, ময়মনসিংহে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

এখন এইচএসসির ফলাফল দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাবেন।

Board of Education2

শিক্ষার্থীরা ফলাফল দেখবেন যেভাবে

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের রেজাল্ট (Result) কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN–এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবেন।

নির্ধারিত Short Code–16222–এ এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাবেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে HSC Board Name (First 3 Letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে শিক্ষার্থীদের।

উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222–তে পাঠাতে হবে।

শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুন। লিখিত পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।