অনির্বাণকে নিজের চরিত্রে পছন্দ কবীর সুমনের

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের বায়োপিক আনতে চলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সৃজিত জানিয়েছেন, তিনি সুমনকে নিয়ে বহুদিন ধরেই ছবি করার কথা ভাবছেন। খবর আজকাল ডট ইনের।

সৃজিত বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা আছে কবীর সুমনকে নিয়ে ছবি করার। এটাকে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কিন্তু আমি আসলে তোমাকে চাই গানটি তৈরির সফরটা পর্দায় তুলে ধরতে চাইছি।’

জানিয়ে রাখা ভাল, সুমনের সঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের দারুণ সুসম্পর্ক। নাগরিক কবিয়াল তাকে নিজের ‘বড় ছেলে’ বলে ডাকেন। ভীষণই স্নেহ করেন।

সুমনের কথায়, ‘সৃজিত ভাল পরিচালক, ভাল ছেলে। আমার বেশ আস্থা আছে ওর উপর।’ 

অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিজের চরিত্রে অভিনয় করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে অনির্বাণকে আমি তেমন চিনি না। কিন্তু মঞ্চে তার নাটক আমি দেখেছি। আমার খুব ভাল লেগেছিল।’

এবার মুখ খুললেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তিনি জানালেন, কবীর সুমনের মতো শিল্পী নিজের চরিত্রে তার কথা ভেবেছেন এটা সৌভাগ্য। অত্যন্ত আনন্দিত তিনি- ‘কবীর সুমন আমার জীবনে অনেককিছু...আজও প্রতিদিন তার গান শুনি। সেখানে উনি আমার সম্পর্কে এই কথা বলেছেন, ভীষণ খুশি আমি।’  

খানিক থেমে অনির্বাণ আরও বলেন, ‘আবার বলছি, আমি অত্যন্ত আনন্দিত, আহ্লাদিত, কবীর সুমন আমার শুধু প্রিয় শিল্পীই নন, আমার আধুনিক মন নির্মাণে (আমার মতে, আধুনিক) তার গানের গুরুত্ব অপরিসীম। হয়ত সবচেয়ে বেশি।’

১৯৯২ সালে গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’ প্রকাশের পর দুই বাংলায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কবীর সুমন। আধুনিক গানের এ শিল্পী সারা বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষীর কাছে ভীষণ জনপ্রিয়।

একসময় স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন শিল্পী। নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মমতার পাশে। এরপর যাদবপুরকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সংসদ সদস্য হন। পরে বনিবনা না হওয়ায় তৃণমূল ছাড়েন।

তার পুরো নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে ‘কবীর সুমন’ নাম ধারণ করেন। তার জন্ম ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।