টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসুর মৃত্যু

বলিউডে অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যুশোক না কাটতেই আবারও নেমে এলো শোকের ছায়া। না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

মৃত্যুকালে ভদ্রা বসুর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। অভিনেত্রীর মেয়ে দামিনী বেণী জানান, প্রাথমিকভাবে অভিনেত্রীর গলস্টোন শনাক্ত হয়েছিল। কিন্তু রক্তচাপ অত্যন্ত বেশি থাকায় তার গলস্টোন সার্জারি করা যাবে না বলে জানান চিকিৎসকেরা। একইসঙ্গে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়। চলতে থাকে ওষুধ। কিন্তু এরইমধ্যে ঘরের মধ্যে পড়ে যান অভিনেত্রী। মস্তিষ্কে একাধিক আঘাত পাওয়ায় তার রক্তক্ষরণ হয়েছিল।

দামিনী বলেন, ‘গলস্টোন প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে শরীরে হয়েতো আরও অনেক জটিলতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনটা আগে-পরে হয়েছে তা কেউ জানে না।’

ভদ্রাকন্যা জানান, প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ভদ্রা। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে এবং পরে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স-এ একাধিক অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু বারবার ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিনেত্রীর হৃদয়ে জটিলতা শুরু হয়। পরে আক্রান্ত হয় কিডনি। 

কিডনিতে জটিলতা পেতেই ডায়ালিসিসের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন চিকিৎসকরা। তাকে ফের আনা হয় এসএসকেএমে। কিন্তু শুক্রবার রাতে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এরপর আর ফেরানো যায়নি অভিনেত্রীকে। আজ শনিবার সকালে নিমতলা ঘাটে ভদ্রা বসুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তার।

প্রখ্যাত নাট্যপরিচালক অসিত বসুর স্ত্রী ভদ্রা বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতে এক চেনা এবং বিশিষ্ট নাম। দীর্ঘ মঞ্চজীবনে অভিনয় ও পরিচালনায় বৃহৎ পরিসরে কাজ করেছেন তিনি। তার চলে যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ভারি হয়েছে শোকে।