আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার ব্যক্তিগত তথ্য আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকের কাছে এই তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।
এর আগে মেঘনা আলমকে ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল মেঘনা ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।
সেই মামলায় বলা হয়েছে, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি এক গোপন বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণা করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী সমির।