আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তকারী বাউল শিল্পী আবুল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন লোকসংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা।
সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘যারা বাউল শিল্পী আছেন, আপনারা গান করেন। কিন্তু এমন কিছু করবেন না যেটার জন্য পুরো শিল্পী সমাজ লজ্জিত হয়। আপনাদের লজ্জার দায় কিন্তু আমরা নেব না। প্রভুকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। এটা আমাদের হৃদয়ে লাগে, বুকে আঘাত লাগে, এটা কেউ সহ্য করবে না। মা-বাবাকে গালি দিলেই সহ্য করা যায় না। সেখানে সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কিছু বললে তার বান্দারা তো চুপ থাকবে না।’
কথার সূত্র ধরে তিনি যোগ করেন,‘আপনাকে এতটুকু অনুমতি কেউ দেয়নি যে, সৃষ্টিকর্তা ও রাসুলকে বাজেভাবে অপমান করবেন। আপনারা পুরো শিল্পী সমাজকে কলঙ্কিত করবেন এই ক্ষমতাকে আপনাকে দেওয়া হয়নি। আপনাদের দায় আমরা নিতে পারব না’।
সালমা আরো বলেন, ‘একজন বাউল কখনও অন্যকে কষ্ট দিতে পারে না। একজন সাধক কখনও আট দশজন মানুষকে অপমান করতে পারে না। বাউল হিসেবে তার তো কোনো চাওয়া পাওয়াই থাকবে না- তাহলে সে কিসের সাধক, কিসের বাউল?’
সবশেষে এই ক্লোজআপ তারকা বলেন, অনেক সময় কথা বলতে বলতে আমরা ভুল করে ফেলি। কিন্তু উনার (আবুল সরকার) ভিডিওটা দেখার পর আমার একবারো মনে হয়নি তিনি মুখ ফসকে বলেছেন বা সে ভুলভাল বা উলটাপালটা কিছু বলে ফেলেছেন। বরং মনে হচ্ছে তিনি উনি নির্দ্ধিধায় আল্লাহকে নিয়ে কৌতুক করছেন। আসলে কি এটা কৌতুক করার বিষয়? একজন বাউলের এ ধরনের আচরণ আমি কখনোই মানতে পারি না।’
গত ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জাবরা এলাকায় খালা পাগলীর মেলায় পালাগানের আসরে বাউলশিল্পী আবুল সরকার ধর্ম অবমাননা করে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার মন্তব্যের ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়।
এর জের ধরে ৫ নভেম্বর রাতে মাদারীপুরে একটি গানের আসর থেকে আবুল সরকারকে আটক করে মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তারের পরদিন সকালে তাকে মানিকগঞ্জ জেলা ডিবির কার্যালয়ে আনা হয়। পরে ওই দিন দুপুরে ঘিওর উপজেলার মুফতি মো. আবদুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আবুল সরকারকে আসামি করে ঘিওর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।