উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। বিভিন্ন ভাষায় প্রায় দশ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। কোটি কোটি সংগীতপ্রেমীর হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া রুনা লায়লা ব্যক্তিজীবনেও রুনা লায়লা বরাবরই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন।
শ্রোতাদের মুগ্ধ করা এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর ফ্যাশন সচেতনতাবোধ আশির দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়েও সর্বমহলে অনুকরণীয় হয়ে থাকছে। কখনোই চাকচিক্য বা দামি পোশাকের প্রতি আগ্রহবোধ করেননি রুনা লায়লা।
সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে নিজের সংগীতের বাইরের জীবন নিয়ে কথা বলেছেন এই গুণী শিল্পী। যেখানে তার ফ্যাশন সচেতনতার চিত্র ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি বিলাস পোশাকের প্রতি কখনো মোহ কাজ করেনি বলেও জানালেন তিনি।
রুনা লায়লার ভাষায়, অযথা টাকা নষ্ট করাটা পছন্দ করি না। আমি কখনো ৪০-৫০ হাজার টাকার শাড়ি কিনিনি। কম টাকার কাপড় কিনে বাকি টাকাটা অন্যকে দিয়ে সাহায্য করতে পারলেই আনন্দ পাই। এখনো খুব দামি কাপড় পরি না। যেগুলো পরি, সেগুলো অত দামি না কিন্তু মনে হয় অনেক দামি।
একটি মজার স্মৃতি উল্লেখ করে শিল্পী বলেন, আমার মেয়ে তানির বাগদান অনুষ্ঠানে একটা শাড়ি পরেছিলাম। সবাই দেখে বলল, খুব সুন্দর শাড়ি, নিশ্চয়ই খুব দামি। বললাম, দামি না খুব। শুনে সবারই আগ্রহ বেড়ে গেল, কত দাম? বললাম, পনেরো শ রুপি। দাম শুনে সবাই অবাক, হতেই পারে না। আপনি বানিয়ে বলছেন। পনেরো শ রুপির শাড়ি আপনি পরবেন! দেখে মনে হচ্ছে পনেরো হাজার টাকার শাড়ি।’
রুনা লায়লার ফ্যাশন সচেতনতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন কলকাতার প্রয়াত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষ। তিনি বলেন, স্টার জলসার জনপ্রিয় টক শো ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানিতে কলকাতার প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ একবার আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, আমার ফ্যাশন স্টাইলগুলো কীভাবে আমি ক্রিয়েট করতাম। বলেছিলাম, এটা আমি সচেতনভাবে করিনি। আমি সাধারণ পোশাকই পরতাম।
রুনা লায়লার সুর করা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আশা ভোঁসলে, হরিহরণ, রাহাত ফতেহ আলী খান, আদনান সামীর মতো প্রখ্যাত শিল্পীরা। ক্যারিয়ারে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।