‘দুষ্টু কোকিল’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা নিজের বিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট দেন। গত ২৫ জুন রাতের ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, ১৬ জুন মোহাম্মদ ইফতেখার গহীনের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে গহীনের কাছের একটি সূত্র দাবি করেছে, কণা তালাকের একটি নোটিশ পাঠালেও তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ এখনো সম্পন্ন হয়নি। অর্থাৎ আইনগতভাবে কণা এখনো গহীনের স্ত্রী।
এই জুটির বিচ্ছেদের খবর সামনে আসার পর থেকেই কণার পরকীয়ার গুঞ্জন ছড়ায়। শোনা যাচ্ছে, গিটারিস্ট মো. শাহরিয়ার সাঈদ শুভ্রর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন এই শিল্পী। যে কারণে তাদের সংসারে এই ভাঙন।
জানা যায়, গিটারিস্ট শুভ্রর স্ত্রী নাসু নিজের সংসার বাঁচাতে কণার সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছেন। তাকে অনুরোধ করেছেন শুভ্রর জীবন থেকে সরে যেতে। কিন্তু তার অনুরোধে কান না দিয়ে কণা ও শুভ্র মোবাইল ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে যোগাযোগ বন্ধ রেখে স্ন্যাপচ্যাটে যোগাযোগ চালিয়ে যান।
গেল ২৫ জুন কনা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর গিটারিস্ট শুভ্র আমেরিকা চলে যান। সেখানে কণারও যাওয়ার কথা ছিল একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠানে। কিন্তু এরমধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদ ও পরকীয়ার খবর জানাজানি হয়ে গেলে কণাকে ওই শো থেকে বাদ দেওয়া হয়।
ইফতেখার গহীনের ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানিয়েছে, গত ১৬ জুন তালাকের নোটিশ পাঠান কণা। ২২ জুন সেটি গহীনের অফিসের ঠিকানায় আসে। কিন্তু সেটি রিসিভ করেননি গহীন।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের একজন আইনজীবী সময় সংবাদকে জানান, তালাকের নোটিশ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যকর হয় না। ঠিকানায় নোটিশ পৌঁছানোর পর থেকে ৯০ দিন লাগে এটি কার্যকর হতে। নোটিশ পেয়েও স্বামী বা স্ত্রী তাতে সাড়া দিক বা না দিক ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যায়। তার আগে তালাকের সার্টিফিকেট দেওয়া হয় না। অর্থাৎ এই সময়ে তারা আইনগতভাবে স্বামী-স্ত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে গায়িকা কণার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।