টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। বিধায়ক হওয়ার সুবাদে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে প্রতিমাসে মোটা অঙ্গের বেতন পান তিনি। তবুও লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ১ হাজার টাকা পেতে আবেদন জমা দিয়েছেন অভিনেতার স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রীর আবেদনের ছবি প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। ওই পোস্টে তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চনকে কড়া সমালোচনা করেন তিনি। মাস কয়েক আগে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর কন্যা সন্তান জন্মের সময় ৬ লাখ রুপি খরচ নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত শ্রীময়ীকে খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘গত ১৭ অক্টোবর একটি লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র সামাজিকমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটিতে নাম-সহ যে তথ্য এবং ছবি দেওয়া হয়েছে তা অভিনেতা-তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর! সম্প্রতি সন্তান জন্মের সময় হাসপাতালের খরচ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জমা দেওয়া নিয়ে যাঁকে ঘিরে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে সেই তৃণমূল বিধায়কের নামও জ্বলজ্বল করছে। একজন রাজ্যবাসী হিসেবে আমি অবিলম্বে এই আবেদনপত্রটির প্রকৃত সত্যতা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি।’
এই বিজেপি নেতা আরও লেখেন, ‘ওই প্রতিভাবান বিধায়কের প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই জানাচ্ছি যদি এই আবেদনপত্রটি এবং এতে উল্লেখিত যাবতীয় তথ্য সত্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে সত্যিই নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের বিধায়কদের ভাণ্ডারের প্রচণ্ড দুর্দশা! রাজ্য বিধানসভার একজন সদস্য হিসেবে মোটা অঙ্গের অর্থ পেয়েও স্ত্রীকে দিয়ে লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করানো হচ্ছে। ফলে এখানেই স্পষ্ট লুটে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনো খামতি নেই তৃণমূলের।’
বিজেপি নেতা সুকান্তের কটাক্ষের পালটা জবাবে কাঞ্চানের পত্নী এক পোস্টে লিখেছেন, ‘কোথাও লেখা নেই বিধায়কপত্নী লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করতে পারে না।’
এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমলে শ্রীময়ী বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আমি অনেক দিন আগে আবেদন করেছিলাম। তখনও আমার বিয়ে হয়নি। তখন তো আর জানতাম না কাঞ্চন বিধায়ক হবে বা আমার ওর সঙ্গে বিয়ে হবে।’
শ্রীময়ীর কথায়, তিনি বিয়ের আগে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই নতুন করে আবেদন করেছেন। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীময়ীর যে আবেদনপত্র ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা মেনে নিয়েছেন শ্রীময়ী।