যে কারণে ফেসবুক পেজ হারালেন সুশান্ত পাল

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মন্তব্য করে এবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ হারিয়েছেন জনপ্রিয় ক্যারিয়ারবিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল। শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৯টায় তার ভেরিফায়েড আরেকটি পেজে দেওয়া একটি পোস্টে পেজটি হারানোর কথা জানান। দুই লাখ ২২ হাজার ফলোয়ারের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দেওয়া ওই পোস্টটিতে তিনি লেখেন, আমার ভেরিফায়েড পেজটি সম্ভবত হ্যাকাররা রিমুভ করে দিয়েছেন। কিছুই বলার নেই। সবকিছুর ভার ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিলাম। আপনারা ভালো থাকবেন।

কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে সুশান্ত যখন পোস্ট দেন সেসময় পেজে ফলোয়ার ছিল ১.৮ মিলিয়ন (১৮ লাখ)।

Susanta Pal 2

এর আগে কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে শুক্রবার (১২ জুলাই) ‘রিমুভ’ হওয়া পেজটিতে পোস্ট দিয়েছিলেন সুশান্ত পাল। পোস্টটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এতো কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে। এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই। এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব আপনার কোনো লজ্জা-শরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে।...’

এই পোস্টের পরই নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েন সুশান্ত পাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে বয়কটের ডাকও দেন কেউ কেউ। আলোচিত সেই পোস্টের নিচে তিনি নিজেই পরবর্তীতে কমেন্টে লিখেছেন, মাত্র ১২ হাজারের মতো ফলোয়ার কমলো! আমি মন থেকেই চাই, সংখ্যাটা ১ লাখ ছাড়াক। আনফলো করতে থাকুন অনুগ্রহ করে। আগাছা কমুক। আই লাভ ইউ।

পরে তীব্র সমালোচনার মুখে পোস্টটির কমেন্টবক্সে লেখার সুযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। কিন্তু পেজটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারলেন না।

পোস্টের কমেন্টে তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে দেখলাম খুব ম্যাসিভ আকারে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। আমার হাসি পাচ্ছে, কেননা যে-বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। আপনারা কী কারণে এভাবে একজন লোককে ক্রমাগত বিরক্ত করে যাচ্ছেন, আমার কাছে তা অস্পষ্ট। নিশ্চয়ই আপনারা ক্যান্ডিডেট নন, আপনারা কেবলই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার ব্যাপারে আগ্রহী। ভুল তো আপনাদের নয়, আমার। কখনও বিনা পয়সায় বাঙালির উপকার করতে নেই। আপনাদের বোধোদয় হোক।’