ফেসবুক প্রপাগান্ডায় নেমেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন যুবলীগ। তাদের দাবি, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে নাকি বিদেশি অর্থের সহায়তা ছিল! তবে দাবির সমর্থনে তারা কোনো প্রমান দেখাতে পারেনি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক পেজে তারা দাবি করে লিখেছে, ‘প্রায় নিস্তেজ হয়ে আসা আন্দোলন ১৮ তারিখে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে নতুন গতি পায়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ৬২৬ শিক্ষক এতে সংহতি জানায়। সাধারণত প্রশাসন রাজনৈতিক কার্যক্রমে কঠোর অবস্থান নেয়, কিন্তু এবার পরিস্থিতি ব্যতিক্রম ছিল। প্রশ্ন উঠছে—এটি কি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, নাকি USAID, IRI ও সরসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (OSF) অর্থায়নের ফল?’
যুবলীগের আরো দাবি, ‘ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় OSUN তহবিলের ফার্স্ট পেজে ফান্ডিং পায়, যা বিশ্বজুড়ে সরকারবিরোধী কার্যক্রমকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।’
‘এছাড়াও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে LGBTQI একটিভিস্টদের সংযোগ ছিল। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশে LGBTQI এক্টিভিস্টদের সাথে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ রয়েছে, যা এই আন্দোলনের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হতে পারে।’
‘এই বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দেয়, হয়তোবা ব্র্যাক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না, বরং এটি বিদেশি সংস্থাগুলোর সুপরিকল্পিত ‘রেজিম চেঞ্জ’ অপারেশনের অংশ’-- প্রচার-প্রপাগান্ডায় যোগ করে যুবলীগ।