ভুয়া পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একে একে তিনজন নারীকে বিয়ে করেন ভারতের উত্তর প্রদেশের যুবক। বিয়ের পর স্ত্রীদের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের নামেই ব্যাংক থেকে তোলে নেন ৪২ লাখ টাকা ঋণ!
২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশের সন্ত কবীর নগরের শিক্ষিকা কিরণের সঙ্গে পরিচিত হন যুবক রাজন ঘেলট। পরিচয় দেন সরকারি কর্মকর্তা ও বিপত্নীক হিসেবে। বিশ্বাস করে ২০২২ সালে বারাণসীর এক মন্দিরে তাকে বিয়ে করেন কিরণ। এরপর রাজন বাড়ি কেনার নাম করে কিরণের নামে ব্যাংক থেকে ৪২ লাখ টাকা ঋণ তুলতে বাধ্য করেন। কিছুদিন পর কিরণ বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, রাজন আরও দুই নারীর সঙ্গে একইভাবে প্রতারণা করেছেন। ২০১৪ সালে আম্বেদকর নগরের এক শিক্ষিকা সরিতাকে বিয়ে করেন তিনি এবং তাদের এক সন্তানও রয়েছে। ২০১৬ সালে সরিতা প্রতারণার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।
একই কৌশলে নীলিমা সিং নামের আরেক নারীও প্রতারিত হন এবং তিনিও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
কিরণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয় এবং পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়েন রাজন। দীর্ঘদিন ধরে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাওয়া এই ব্যক্তি অবশেষে আইনের মুখোমুখি হয়েছেন।