জানি না আমার বাঁশির কী হবে: আবদুল হাকিম

দীর্ঘদিনের অসুস্থতা শেষে চিরবিদায় নিলেন লালনসংগীতের অমর সাধক ফরিদা পারভীন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই বরেণ্য সংগীতশিল্পী। তার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে গভীর শোক।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষ জড়ো হন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষার্থী, ভক্ত সবার কণ্ঠে একটাই কথা, ফরিদা পারভীনের মতো শিল্পী শতবর্ষে একবার জন্মায়।

স্বামী ও সংগীত-সহচর বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম স্ত্রীর প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন। যুগলজীবন শুধু দাম্পত্যেই নয় ছিল সংগীতেও। ফরিদা পারভীনের গান আর হাকিমের বাঁশির সুরে তৈরি হতো এক অনির্বচনীয় মুগ্ধতা।

আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার বাঁশি আর তার গান যেভাবে ক্লিক করেছে, সেটা আর কোথাও হয়নি। আমি জানি না এখন আমার বাঁশির কী হবে। হয় ছেড়ে দিতে হবে, নয়তো আরও বেশি বাজাতে হবে, যাতে ওপারে সে তৃপ্তি পায়।

ফরিদা পারভীনের বিদায়ে শুধু একটি শিল্পীর চলে যাওয়া নয়, একটি সাংস্কৃতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল। তিনি ছিলেন লালনসংগীতের আধুনিক অনুবাদ। তার কণ্ঠে লালন গানের যে জীবন-দর্শন, তা বহু প্রজন্মকে আলোড়িত করেছে।