সহজ-সরল ভাষায় কথা বলা আর হাস্যরসাত্মক ছড়া বলার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন রিপন মিয়া। তার মুখের বিখ্যাত উক্তি ‘এটাই বাস্তবতা, আমি রিপন ভিডিও, হা হা হা!’ এখন অনেকের মুখে মুখে।
রিপন মূলত একজন গ্রামের কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। অবসরে ভিডিও বানানোই ছিল তার শখ। চাকরির খোঁজে ঢাকায় গিয়ে পিয়নের চাকরিও করেছিলেন কিছুদিন, কিন্তু টিকতে না পেরে ফিরে যান গ্রামে। এরপর রান্নার ভিডিও বানিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
তবে সম্প্রতি এই জনপ্রিয়তার মাঝেই শুরু হয়েছে বড় ধরনের বিতর্ক। একটি টেলিভিশন প্রতিবেদনে রিপনের বিরুদ্ধে বাবা-মাকে অবহেলার অভিযোগ উঠে আসে। তার মায়ের আবেগঘন বক্তব্য- ‘অনেক কষ্টে মানুষ করেছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, তাই হয়তো ওর মানসম্মান কমে যাবে।’
এই বক্তব্য সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনদের অনেকেই রিপনকে ‘অহংকারী’ ও ‘অবজ্ঞাকারী সন্তান’ বলে মন্তব্য করছেন।
অন্যদিকে, রিপন নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করলেও গ্রামের বাড়িতে তার বাবা-মা জানিয়েছেন, বহু আগেই পারিবারিকভাবে বিয়ে দিয়েছেন তাকে। রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাহিদ রনি জানান ‘রিপন মিয়া ১২ বছর আগে বিয়ে করেছেন। ছেলের নাম রাফি, বয়স ১১ বছর। মেয়ের নাম রোজা মণি, বয়স ৬ বছর।’
রনি আরও অভিযোগ করেন, রিপনের সব ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করেন তার ম্যানেজার সজীব। তিনিই নাকি রিপনকে পরিবারের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। রনির দাবি, ‘রিপনের মাসিক আয় গড়ে ৩ লাখ টাকা, কোনো কোনো মাসে ১০ লাখের বেশি হয়। কিন্তু তিনি পান মাত্র ১০ ভাগ, বাকিটা যায় সজীবের হাতে।’
এই ঘটনার পর থেকে সামাজিকমাধ্যমে রিপন মিয়াকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, খ্যাতি অর্জনের পর বাবা-মাকে অস্বীকার করা শুধু অনৈতিক নয়, অমানবিকও।