২০২৫ সাল নাগাদ সকল সরকারি নির্মাণে পোড়ানো ইটের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। বায়ুদূষণ রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকারকে পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্যবস্থায় যেতে হবে। সরকার চাহিদাপত্র দিলেই এর সমাধান হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি অফিসে এরইমধ্যে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, যেন নির্মাণ কাজে পোড়ানো ইট ব্যবহার না করা হয়। সরকারই হচ্ছে নির্মাণ কাজে ইটের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। রাস্তাঘাট ও ভবন নির্মাণে সরকার ইট ব্যবহার করে থাকে। বড় বড় কাজে ব্যবহার হয় ইট।
উপদেষ্টা জানান, পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ সনাতন ইটভাটা। এটি বন্ধের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশে নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এছাড়া জেলাগুলোতে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটাকে জনস্বার্থে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে জানিয়ে ব্লক ইট তৈরির কাজে প্রয়োজনে সরকার প্রণোদনা দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরিবেশ দূষণে পলিথিনের ব্যবহার প্রসঙ্গে রিজওয়ানা বলেন, গত ৩ নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলে পলিথিন ব্যবহার বন্ধেও নানা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
কপ-২৯ সম্মেলন নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, এ সম্মেলন নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানটা খুবই স্পষ্ট। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব ব্যাংক অর্থ সাহায্য দেবে। বাংলাদেশ থেকে এই সম্মেলনে বলা হয়েছে, ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে টার্গেটটা ছিল, তা সম্পূর্ণ করতে। কারণ এ টার্গেট থেকে তারা মাত্র এক-চতুর্থাংশ তহবিল ছাড় দিয়েছে।