বিশ্ব যখন নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ তীব্র জলবায়ু সংকটের সৃষ্টি করছে। এডিবির এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য মারাত্মক হুমকির। অর্থাৎ ফুয়েলর ওপর নির্ভরতা দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও সমাজকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
মোংলা নাগরিক সমাজ আয়োজিত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মোংলার নারিকেলতলায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক পরিবেশযোদ্ধা মো. নূর আলম শেখ বলেন, এডিবি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে ৮২ দশমিক ৯ শতাংশ চলে গেছে জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে, সৌর বিদ্যুৎ মাত্র ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং বায়ু শক্তিতে কোনো বিনিয়োগই হয়নি। যেখানে প্রতি মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুতে বিনিয়োগের খরচ শূন্য দশমিক ৫১ মিলিয়ন ডলার, সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পে প্রতি মেগাওয়াটে ২ দশমিক ০৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে।
নাগরিক নেতা হাছিব সরদার বলেন, খুলনার ১৫০ মেগাওয়াটের গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইড সাইকেল প্রকল্পে উন্নীত করতে এডিবি অতিরিক্ত ১০৪ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবুও গত ১১ বছরে এ প্রকল্পের জন্য সরকারকে এক হাজার ৮২৪ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। এদিকে রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াটের এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রায় শেষ হলেও সেখানে গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা নেই। ফলে এই প্রকল্পও অচল সম্পদে পরিণত হবে এবং সরকারকে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- নাগরিক নেতা মো. হাছিব সরদার, নারী নেত্রী ছবি হাজরা, আইরিন বিশ্বাস, ইয়ুথ লিডার মেহেদী হাসান, রোজি বিশ্বাস, বিভা বিশ্বাস নাগরিক নেতা অসীম বিশ্বাস, সঞ্জিত বিশ্বাস প্রমুখ।