১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে ৮টি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমদিনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল পর্যায় ও স্কুল-২ পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন আড়াই লাখেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী।
পরের দিন শনিবার (১৩ জুলাই) কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। একইসঙ্গে পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো শঙ্কা নেই দাবি করে গুজব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে, পরীক্ষার সব কার্যক্রম এরইমধ্যে শেষ করা হয়েছে জানিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষক ঘাটতি পূরণে পরীক্ষা নিতে হবে।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যেসব কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি, সেখানে বন্যার পানি ওঠার আশঙ্কা নেই। পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতাও নেই। তবে বন্যা দুর্গত এলাকার প্রার্থীদের একটু সমস্যা হবে। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ শিক্ষকের অনেক সংকট। পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
চলতি বছরের ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ চাকরিপ্রার্থী। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন পাস করেছেন।