মুশকিল ॥ গোলাম মোর্শেদ চন্দন
আমার দরজা খোলা আছে
তোমারটাতে খিল।
কেমনে যাবো তোমার কাছে
বড্ড যে মুশকিল।
মন মানে না কেউ জানে না
কীভাবে বোঝাই।
আসলে কাছে হৃদয় নাচে
ততটা সোজাই।
সহজ করে হয়নি বলা
তাই তো হয়নি মিল।
কেমনে যাবো তোমার কাছে
বড্ড যে মুশকিল।
জানতে গিয়ে হৃদয় দিয়ে
পেলাম না যে সাড়া
বলছি তবু পাইনি কভু
দিলাম না তো তাড়া।
ইচ্ছে হলে ডাকতে পারো
করো যদি ফিল।।
কেমনে যাবো তোমার কাছে
বড্ড যে মুশকিল।
লকেট ॥ চন্দন চৌধুরী
বড় ভাই তার ছোট ভাইয়ের লাশটাকে জড়িয়ে ধরলো
আর কেঁদে উঠলো নিজের আত্মাকে সঙ্গে নিয়ে
মনে মনে ভাবলো, বেঁচে থাকতে কোনোদিন এভাবে
ভাইকে জড়িয়ে ধরেনি সে
তারপর ভাইয়ের পকেট থেকে লকেটটা খুলতেই
চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল স্মৃতির গন্ধ
শৈশবের আনন্দশব্দ তুললো লকেটটা
দুইদিকে বিছিয়ে দিলো দুই ভাইয়ের ছবি।
প্রকৃতি নিয়ম বোঝে ॥ মামুন রশীদ
প্রকৃতি নিয়ম বোঝে, মানুষ বোঝে দৃশ্য
চোখে দূষিত রঙ, কী যে হুলস্থুল কাণ্ড
কৌতুক ও বিস্ময়ে শঙ্কাহীন পথ
সেও রাহুগ্রাসে ঝুলিয়ে দেয় উলঙ্গ কুকুরের শব
মাথার ওপরে জ্যোৎস্না, আশপাশে
ছাতিমের ঘ্রাণ, কবে শোনা ছাতিয়ানগ্রাম—
অপ্রকাশ্য নীল খাম, লেখা ছিল—
ভালোবাসার তুক-তাক
কী আশ্চর্যভাবে— পুরনো শোক প্রদীপ
আলো ফেলে প্রতিবন্ধী দৃষ্টিতে।
খুব পাশে দাঁড়িয়ে স্বপ্নতাড়িত ঘুমে
রেখে যায় অনুভূতির গোপন সংক্রমণ।
মানুষ দৃশ্য বোঝে, প্রকৃতি বোঝে না।