যমুনা নদী ব্যবস্থাপনায় টেকসই নদী শাসন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, যমুনা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান জীবনদায়ী নদী। তাই নদী শাসনের ক্ষেত্রে এর আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি সেখানকার জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, যমুনা নদী শাসন ও ব্যবস্থাপনায় নদীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং জীবনযাপনের অপরিহার্য উপকরণগুলো অপরিবর্তিত রাখা জরুরি। একই সঙ্গে বোরো চাষাবাদের জন্য পর্যাপ্ত পানির সংস্থান নিশ্চিত করা এবং লবণাক্ততা হ্রাসে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
জাপানের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপানের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. এনায়েত উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনছি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার আজিম আহমেদ এবং পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক।