ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির জানাজা সিঙ্গাপুরের মসজিদ আঙ্গুলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসীরা মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন। জানাজা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় হতাশ ও ভারাক্রান্ত মনে তাদের ফিরে যেতে হয় তাদের।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ওসমান হাদি ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় তার জানাজা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এই জন্য হাইকমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুর প্রবাসী ভাইদের দেশটির আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যার যার অবস্থান থেকে ওসমান হাদির বিদেহি আত্মার জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করি।
এরআগে, ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে শরিফ ওসমান হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরের দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে (শুক্রবার) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সবশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু হয়।
হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছবে। আর শনিবার তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। হাদির মৃত্যুতে শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।