লঞ্চ দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা নৌ উপদেষ্টার

চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে।

এ ছাড়া তিনি লঞ্চ দুটির মালিকপক্ষকে তলব করার নির্দেশ দিয়েছেন। দায়ী মালিকপক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

উপদেষ্টা বলেন, এই লঞ্চ দুর্ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চার-৯-এর ৫ জন স্টাফকে ইতোমধ্যে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় ঘনকুয়াশার মধ্যে লঞ্চ না চালানোর নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি লঞ্চে ফগ লাইট ও সাইড লাইটের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি লঞ্চগুলোর ফিটনেস ও লাইসেন্স নিয়মিত তদারকির জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) যাত্রীবাহী লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চার-৯ ঢাকা থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। অপরদিকে ঘোষেরহাট থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানাধীন মেঘনা নদী এলাকায় পৌঁছালে ঘনকুয়াশার কারণে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উভয় লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

এই দুর্ঘটনায় এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে লঞ্চটির চারজন যাত্রী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।