পালিয়ে আসাদের ফেরত নিবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের ফেরত নিবে দেশটি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমুদ্র পথে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেন অনলাইন বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।

সভা শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের ৩২৮ জন নাগরিককে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে, সেটা সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার তাদের বাহিনীর লোকদের নাফ নদ হয়ে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। তাতে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কারণ নাফ নদ দিয়ে ফেরত পাঠানোর সময় আরাকান আর্মি যদি কোনো হামলা চালায়, আর তাতে যদি কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায় বাংলাদেশকেও নিতে হবে। বিকল্প পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠানোর বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই এখন সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি রয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব জানান, সরাসরি কোনো ঝুঁকি দেখছি না। বিজিবির সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে, যাতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।