তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি

শেষ শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরাঞ্চল

শীত তার শেষ ধাক্কা দিতে শুরু করেছে। এবারের শীত মৌসুমের শেষ সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগ মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। আর তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর প্রভাবে আরও ১৮ জেলাসহ পাশের এলাকায় কিছুটা বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। এরপরই শুরু হবে আবহাওয়ার পালাবদল। এবারের মতো শীত বিদায় নিবে এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকবে তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত না হয়ে অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর বিভাগের শৈত্যপ্রবাহের কিছুটা প্রভাব পড়েছে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায়। বিভাগটির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাড়ে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রয়েছে। উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এর বাইরে কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসহ পাশের এলাকায় শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ১০ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হচ্ছে সাড়ে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এসব জেলাসহ পাশের এলাকায় হিমেল বাতাসের সঙ্গে রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। আর এবারের শীত মৌসুমের এটি হচ্ছে শেষ শৈত্যপ্রবাহ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার পর শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।

আগামী বাহাত্তর ঘণ্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী মধ্যরাতে শুরু হয়ে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। এছাড়া অন্যত্র থাকবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। আগামী শনিবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের এলাকাসহ সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। তবে মধ্যবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়ে উত্তরাঞ্চলে বৃদ্ধি পাবে। আর এই সময় দিনের তাপমাত্রার তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। শেষ ২৪ ঘণ্টা সময়ে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সারা দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামী রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। রাজধানীতে বৃহস্পতিবার বাতাসের গতি ছিল পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। রাজধানীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৩ এবং ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অপরদিকে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।