আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, ৭ই মার্চ ভাষণের স্বীকৃতিই তার প্রমাণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, ৭ই মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিই তার প্রমাণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ও সংগ্রামের ফল।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন স্বাধীনতা বিরোধীদের সহ্য হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শুধু ক্ষমতার জন্য আমার বাবাসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করে ঘাতকেরা। এত রক্ত নিয়ে বাংলাদেশকে এক কদমও এগিয়ে নিতে পারেনি তারা। 

তিনি বলেন, বিশ্বে স্বাধীনতার জন্য এখন পর্যন্ত যারা ভাষণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ৭ই মার্চের ভাষণ। ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি, বিজয়ও এনে দিয়েছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে লন্ডনে যান, সেখানে বসে পূর্ব বাংলায় গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনওই ক্ষমতা ছাড়বে না। ওই বৈঠকে ভারতের দুজন প্রতিনিধিও ছিলেন।

এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া, সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপর গণভবনে ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন।