জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য শ্রেষ্ঠ পাঁচ জন জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এই পাঁচজনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সনদ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নারী দিবস নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশে নারীদের ক্ষমতায়নের শুরু হয়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সকল ক্ষেত্রে নারীরা আজ সফল । নারীরা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যে কারণে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী আনার কলি, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা রাজশাহী বিভাগ থেকে কল্যাণী মিনজি, সফল জননী হিসেবে সিলেট বিভাগের কমলী রবিদাশ মাত্র ১৮ টাকা দিন মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তার একজন ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। বর্তমানে তার ছেলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তিনি এই সম্মাননা পাচ্ছেন।
এছাড়াও ১২/১৩ বছর বয়সে বিয়ে, যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় নিজ স্বামী কর্তৃক অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েও পুনরায় জীবনে স্বাবলম্বী জয়িতা জাহানারা বেগম এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার, জীবনমান উন্নয়নে কাজ করায় খুলনা জেলার পাখি দত্ত (হিজড়া) এ সম্মাননা পাচ্ছেন। এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য-নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ।
শুক্রবার (৮ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।