প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুরে পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার চেষ্টা ছিল দক্ষিণাঞ্চলে। কিন্তু দক্ষিণের মাটি খুব নরম। প্রতিটি দ্বীপে সার্চ করা হয়েছে। আমাদের পারমাণবিক শক্তির লোক পাঠিয়ে মাটি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে কিন্তু মাটি নরম হওয়ায় সেখানে নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তবে এখন পাবনায় নির্মাণ করছি, এটি পুরোপুরি সমাপ্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়টাও পাবনাতেই করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে বলেছি, প্রথমটার কাজ তো শেষ হলেই সাথে সাথে দ্বিতীয়টার কাজও যেন শুরু করতে পারি সেই প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতে উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। ক্ষমতায় এসে গবেষণার কারণেই তিন বছরের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। শিক্ষা-গবেষণাসহ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যা যা প্রয়োজন, সবই করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাস্থ্যখাতে গবেষণায় পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসকরা শুধু টাকা ইনকাম করে। স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা আরও বাড়াতে হবে। সরকারি চিকিৎসক যারা আছেন তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণায় মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক/বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এর আগে অনুষ্ঠানে ৫৪ জন গবেষককে অনুদানের চেক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।