দুবাই থেকে যেভাবে দেশে ফিরবেন সেই জিম্মি ২৩ নাবিক

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছে। জাহাজটি আগামী ১৯ অথবা ২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে। এরপর জাহাজটিকে সরাসরি চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হবে। দুবাইয়ে নোঙর করার পর জাহাজের নাবিকরা ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরবেন স্বজনদের কাছে।

জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ার আগেই নাবিকেরা কে কোথা থেকে সাইন অফ (জাহাজের কর্ম হতে অব্যাহতি) করবেন, তার তালিকা চূড়ান্ত করে রাখে জাহাজের মালিকপক্ষ। তাদের নির্দেশে এ ব্যাপারে ক্যাপ্টেনকে একটি তালিকাও দিয়েছে নাবিকরা। সেই তালিকায় জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৮ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে সাইন অফ করবেন বলে জানিয়েছেন। বাকি পাঁচজন জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে সাইন অফ করবেন বলে জানিয়েছেন। তারপরও নাবিকদের সবাইকে দুবাই থেকে এক যোগে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জাহাজের মালিক কোম্পানি কেএসআরএমের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। 

তিনি বলেন, জাহাজে জলদস্যু ছিল ৬৫ জন। শনিবার মধ্যরাতে বোটে করে তারা চলে যায়। জাহাজটি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে। সেখানে নোঙর করার পর ১৮ নাবিক ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। বাকি পাঁচজন জাহাজসহ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে সাইন অফ করবেন।

এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে।