নবম পে-স্কেলসহ ৬-দফা দাবিতে সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম জনপ্রশাসন মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
রোববার (৫ মে) ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে তারা এক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের ৩৯তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ২৯তম যা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়।
গত এক দশকে বাংলাদেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশ এবং বর্তমান বিশ্বের দ্রুততম উন্নয়নশীল অর্থনীতি দেশ হিসেবে ৭ম স্থানে অবস্থান করলেই ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবীরা বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিত ও সেবামূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নিম্ন গ্রেডের আয় না বাড়ায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ৬দফার ভিত্তিতে দাবি জানিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
যে সকল কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণসহ সকল পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান, বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীদেরও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্যমূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, অর্থ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সহ-অর্থ সম্পাদক মো. শাহ আলম, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কেফায়েত হোসেন,ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয়, বিভাগ, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দ।