মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৭ জুন। দেশে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেই লক্ষ্যে জোরেশোরে চলছে শেষ মুহূর্তে ঈদের মাঠ প্রস্তুতির কাজ। দু-একদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে প্রস্তুতির সকল কাজ।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের সময়সূচি চূড়ান্ত করে ঘোষণা আসবে ঈদের আগের দিন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সেই সূচি যথাসময়ে জানিয়ে দেবে।
ঈদের দিন সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, এখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিচারপতিসহ ভিআইপিরা নামাজ পড়বেন। তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ঈদের জামাতের জন্য ১৬ জুনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হবে।
মেয়র জানান, ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে ভিআইপি (পুরুষ) কাতার হবে পাঁচটি, ভিআইপি (নারী) একটি, জনসাধারণের মধ্যে ৬৫টি পুরুষ কাতার ও ৫০টি নারী কাতারসহ মোট ১২১টি কাতার হবে। ঈদগাহের অজুখানায় একসঙ্গে ১১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী অজু করতে পারবেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢেলে সাজানো হয়েছে ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছাড়াও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফ এবং ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। রাস্তার আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
জানা গেছে, ঈদগাহে মূল প্রবেশ পথ থাকবে তিনটি। তবে জামাত শেষে বের হওয়ার জন্য উত্তরের দিকে আরও গেট খোলা হবে। এছাড়া, নারীদের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশে আলাদা প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে।