ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে ভারতের সিআইডি। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় তিনি নিহত হন। শনিবার (১৮ আগস্ট) আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে। বারাসাত আদালতে প্রায় ১২০০ পৃষ্ঠার ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইডি সূত্রের খবর, চার্জশিটে ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার এবং সিয়ামের নাম আছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে চার্জশিটে কিছু বলা হয়নি। তদন্তকারীদের একাংশের ব্যাখ্যা, তদন্ত শেষ না হলে খুনের কারণ বলা যাবে না। তা ছাড়া এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে এখনও জেরা করা যায়নি।
গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হন বাংলাদেশি সংসদ সদস্য। ১৮ মে বরাহনগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপর তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশ। এসটিএফ এবং বরাহনগর থানা জানতে পারে, নিউ টাউনের একটি আবাসনে নিয়ে এসে সাংসদকে খুন করা হয়েছে।
সিআইডি তদন্তভার নেওয়ার পরে ২২ মে জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় সিয়ামকে। অন্যদিকে, ঢাকা পুলিশ সে দেশে আমানুল্লা ওরফে শিমূল ভূঁইয়া, শেলাস্তি রহমান, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর-সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী তথা সাংসদের বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন পলাতক। তাকে আমেরিকা থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছে সিআইডি।