হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে চিঠি

ভারতের জবাবের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার চিঠির (নোট ভারবাল) প্রেক্ষিতে ভারত কী জবাব দেয়— তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নোট ভারবালের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের উত্তরের জন্য একটি স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ অপেক্ষা করবে। এরমধ্যে উত্তর না পেলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে তাগিদপত্র দেওয়া হবে।’

সে স্বাভাবিক সময়টা কতদিন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , ‘এটা নির্ভর করে কোন বিষয়ের ওপর কথা হচ্ছে। আমরা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছি, সেটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়,  এটার স্বাভাবিক সময় ব্র্যাকেটিং (নির্দিষ্ট) করার সুযোগ নেই।’

এসব ক্ষেত্রে কখনো কখনো কোনো বিষয় বছরের পর বছর লেগে যায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

খবরে প্রকাশ, হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর কথা বলে বাংলাদেশের হাই কমিশনের থেকে চিঠি (নোট ভার্বাল) যথা সময়ে পেয়েছে ভারত সরকার। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রত্যার্পণের বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ হাই কমিশনের থেকে একটি নোট ভার্বাল পেয়েছি আমরা। বর্তমানে এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই।’

সোমবারই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। ভারতকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।’

এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে বাংলাদেশ। গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।