সারা দেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে ৪৫টি ঘাটে আটকা পড়েছে প্রায় ১৫ লাখ টন পণ্য। দেশের ৪৫টি নৌঘাটে ৭৩৮টি লাইটার জাহাজ ও চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস বন্ধ থাকায় ২০টি মাদারভ্যাসেলে আটকা পড়েছে এসব পণ্য।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজে সাত খুনের ঘটনার বিচার ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে এ কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকেরা।
এর আগে, সাত খুনের ঘটনার পরপরই প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সাত খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচার, নৌপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলে নৌযান শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নবী আলম বলেন, মেঘনা নদীতে জাহাজের সাতজন শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় চার দফা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। এ কারণে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি। তাতেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলছে।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, নৌযান শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। জাহাজের সাত খুনের ঘটনায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নেপথ্যের কারিগরদের চিহ্নিত করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তদন্ত চলছে।