‘দেশে ছিনতাই, চাঁদাবাজি হচ্ছে এবং যারা করছে, তারা ধরাও পড়ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘তারা ছাড়া পাওয়ার পর আবার তারা এসব করছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি যেভাবে হোক এটি কমিয়ে আনার জন্য।’
রোববার (২৬ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের সহায়তায় হটলাইন সেবা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই কমাতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, হটলাইনের মাধ্যমে বন্দীদের অবস্থান, হাজিরা ও সাক্ষীর তারিখ, শারীরিক অবস্থা, প্যারোলে মুক্তির তথ্য, বিভিন্ন পরামর্শ ও অভিযোগের সব তথ্য দেওয়া যাবে। এই হটলাইনের মাধ্যমেই বন্দীর আত্মীয়স্বজন সব তথ্য জানতে পারবেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের কারাগারে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে।
পুলিশের স্বল্পতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের স্বল্পতা নেই। হয়তো কাজে আগের মতো উদ্যমটা নেই। তাদের কাজের উদ্যমটা যেন ফিরিয়ে আনা যায়, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে কারাগার থেকে পালানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনো প্রায় ৭০০ জন বন্দী এখনো বাইরে রয়েছেন। তাঁদের ধরার চেষ্টা চলছে।’
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনে মুক্তির পর সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়র বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের আবার ধরে তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যে–ই ধরা পড়বে, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ঢাকা বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ ।