‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে চিহ্নিত, র‌্যাব বিলুপ্তি চায় এইচআরডব্লিউ

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাহিনীটি বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সেই সাথে রাজনৈতিক উদ্দেশে অপব্যবহার ও পরবর্তী সরকারের দমন-পীড়নে যেন হাতিয়ার না হয়, তা নিশ্চিত করতেও সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

‘আফটার দ্য মুনসুন রেভুলেশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ৫০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, র‍্যাব বিলুপ্তি করা হবে শুধু এই শর্তেই যে, র‍্যাবের সঙ্গে যুক্ত সব কর্মকর্তা যাতে অন্য ইউনিটে গিয়ে একই অপকর্মের চর্চা করতে না পারেন, সে জন্য তাদের মানবাধিকার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কার না করা হলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কষ্টার্জিত সব অর্জন বৃথা যেতে পারে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীগুলো পতিত সরকারের আমলে সাধারণ মানুষকে যেভাবে অকারণে হয়রানি করতো এখনও তাতে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। সেই বাহিনীগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করা বিদ্যমান আপৎকালীন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে র‍্যাব গঠন করা হয়েছিল। এরপর যেসব সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এই বাহিনীকে এক ধরনের দায়মুক্তি দিয়ে কাজ করিয়েছে। গুম, হত্যা বা ক্রসফায়ারের ঘটনার জন্য র‍্যাবের একটি আলাদা দল ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‍্যাবের সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন সরকার। এরপর হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে র‍্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে।