‘বিবাহিত কোটা’ চাওয়া সেই রাসেল এখন এনসিপির সংগঠক

চোখে-মুখে একরাশ ক্লান্তি আর বিস্ময়ে একটি প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘বিবাহিত কোটা চাই’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পরিচিত হয়ে ওঠা সেই ব্যক্তির নাম রাসেল আহমেদ। যার যাত্রা শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে।

শুরুতে অবশ্য প্ল্যাকার্ডের এই লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসের উপাধেয় হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্ল্যাকার্ডই তাকে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তোলে।

সেই রাসেলই এখন লালমনিরহাটের স্বপ্নদ্রষ্টা। জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের ‘সংগঠক’ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি।

রাসেল আহমেদ বলেন, লালমনিরহাটের সন্তান আমি। লালমনিরহাটের জনসেবা করার জন্য ফিরব। এটাই আমার অঙ্গীকার। মানুষের ভাগ্য বদলাতে কাজ করে যাব।

রাসেল আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সাধারণ একজন শিক্ষার্থীর মতোই চলছিল তার নিত্যদিনের জীবন-যাপন। তবে কোটা আন্দোলন পাল্টে দেয় তার গতিপথ।

২০২৪ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদের ভাষাও ছিল ভিন্ন। এই গল্প গণমাধ্যমে ওঠে আসলে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তার অভিনব প্রতিবাদের কথা। সেদিন থেকেই চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূচনা হয় তার হাত ধরে।

এরপরই ৮ জুলাই প্রকাশিত কমিটিতে ১৭ নং সমন্বয়ক হিসেবে উঠে আসে তার নাম। পরবর্তীতে ৩০ জুলাই প্রকাশিত কমিটিতে তিনিই হয়ে ওঠেন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। সমন্বয়ক হিসেবে পুরো চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন নির্ভীক সাহসের সঙ্গে। এরপর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।