বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে তিন বছরে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পে লুটপাটের তথ্য মিলেছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের এসব প্রকল্পে নামকাওয়াস্তে সভা-সেমিনার, স্কুল-কলেজ পরিদর্শন, টিভিসি, চলচ্চিত্র নির্মাণ, পত্রিকা-টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন বাবদ এসব টাকা ব্যয় করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের জুলাই মাসে হাতে নেয় বীরের কণ্ঠে বীরগাঁথা শীর্ষক ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প। কাজ ছিল, যেসব মুক্তিযোদ্ধা এখনো বেঁচে আছেন, তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া ও সংরক্ষণ করা। তবে দুদকের অভিযোগ, অল্পসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নেয়া হলেও খরচ দেখানো হয় অস্বাভাবিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চেতনা বিক্রি করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে লুটপাটের বন্দোবস্ত করা হয়।
দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. শাজাহান সাজু বলেন, চেতনা শব্দগুলো ব্যবহার করা হয় দুর্নীতিকে বৈধ করার জন্য। চেতনা বাস্তবায়নে যে বাজেটগুলো করা হয়েছে, সেখানে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কাজ হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে দেখেছি যে দুর্নীতি হয়েছে। এসব প্রকল্পে প্রচুর টাকাপয়সা নিয়েছে।
গত সাত বছরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অন্তত ১০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা টাকার অংকে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রতিটি প্রকল্পেই অসঙ্গতি খুঁজে দেখতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন।