জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীসহ ৩ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৫ মে) দুদকের মহাপরিচালক মো আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ১২ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এবং ২০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৭৪২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অপরাধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারায় ১টি মামলা করেছে কমিশন।
তিনি আরও জানান, রোকসানা হাসানের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ১২ হাজার ২১৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং ১১ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ১১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অপরাধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় পৃথক ১টি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া ইসমাইল হায়দার মল্লিক এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (বর্তমানে-চাকরিচ্যুত), বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড ও ডাইরেক্টর, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭০ কোটি ১২ হাজার ৪৮১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৬ হাজার ৭০১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অপরাধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারায় ১টি মামলা করা হয়।
আলোচিত-সমালোচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক এই সভাপতি একযুগের বেশি সময় দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম করে বিসিবির শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসে দুদকে।
অন্যদিকে, বিসিবির অর্থ লুটপাটের ঘটনায় পৃথক আরও একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, যার খোঁজে বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠাচ্ছে দুদক।