বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বুধবার ( মে) বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা সুরমা’ নিয়মিত টহল চলাকালীন বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারে ছয়টি ফিশিং ট্রলার জব্দ করে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, জব্দ করা ট্রলারসমূহে তল্লাশি চালিয়ে ১০৩ জন জেলেকে আটকসহ সাড়ে ১৩ হাজার পিস ইলিশ, অন্যান্য প্রজাতির মাছ ৮৫ কেজি ও ৪ লাখ ৫৫ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি ১৬ লাখ টাকারও বেশি।
আটক জেলেরা ভোলা ও হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। পরবর্তীতে জব্দকৃত ইলিশ ও জালসহ জেলেদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালী কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, জাটকা নিধন প্রতিরোধ ও ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ অপারেশন বাস্তবায়নে নৌবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। চলমান এ অভিযানে নৌবাহিনী এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ জাল, জাটকা ও মাছ ধরার সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে। সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের মৎস্য সম্পদ এবং জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে, বুধবার মধ্যরাতে গোয়েন্দা সংস্থা তথ্যেও ভিত্তিতে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এলাকায় অভিযানে কেউড়া বনে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ জব্দ করা হয়। ওষুধসমূহের মধ্যে রয়েছে-সেডিল ইনজেকশন (ডিয়াজিপাম বিপি ১০ এমজি/এম্পল) ২ হাজার ৬৯৫ পিস, সেডিল ট্যাবলেটস (ডিয়াজিপাম বিপি ৫ এমজি) ১ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ পিস ও যলিয়াম শূন্য দশমিক ৫ (এলপ্যারাযোলাম ০.৫ এমজি) ২৩ হাজার ৫২০ পিস। এসময় আভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা নাইট্যংপাড়া পাহাড়ের গহীনে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জব্দ করা ওষুধসমূহ টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, টেকসই সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় নৌযান কর্তৃক সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশেষ অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে।