সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও চিকিৎসক ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান। তিনি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জেহাদ খান জানান, নাজমুস সাকিব নামের এক ব্যক্তি ও কিছু ফেসবুক পেজে তার নামে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এতে দাবি করা হয়, তিনি আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং একটি সেফ এক্সিট প্ল্যান প্রণয়নে ভূমিকা রেখেছেন।
‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, ড. ইউনূসের সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি, কোনো যোগাযোগও নেই। আমি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নেই, তাই কারও বিদেশ গমনের সুপারিশ করার ক্ষমতাও আমার নেই,’ বলেন তিনি।
জেহাদ খান অভিযোগ করেন, আবদুল হামিদের দেশত্যাগের পেছনে সরকারপন্থি গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকা থাকলেও তা আড়াল করতে তাকে টেনে আনা হচ্ছে। তিনি এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপনেরও আহ্বান জানান।
ডা. জেহাদ খান ১৯৮৮ সালেই জামায়াতে ইসলামীর সদস্য হন। সেনাবাহিনীতে চাকরি শেষে ২০১৪ সালে পুনরায় সংগঠনে সক্রিয় হন। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী।
তিনি স্বীকার করেন যে, আবদুল হামিদ তার শ্যালক হলেও তার পরিবার ও আত্মীয়দের বেশিরভাগই জামায়াত সমর্থক। ‘মরহুম গোলাম আযম ও শহীদ নিজামীও আমাদের আত্মীয়। শুধু আবদুল হামিদের জন্য পরিবারকে বিচার করা ভুল,’ বলেন তিনি।
চিকিৎসক হিসেবে তার দক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে দাবি করেন জেহাদ খান। তিনি বলেন, ‘আমাকে 'ভুয়া ডাক্তার' বলা হয়েছে, এনজিওগ্রামে অদক্ষ বলেও অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এমনকি ভিডিও প্রমাণ দিয়ে দেখাতে হয়েছে আমার দক্ষতা।’
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ধানমন্ডির সংঘর্ষের সময় আহতদের চিকিৎসা দেওয়ায় তাকে গোয়েন্দা সংস্থার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে বলে তিনি জানান।
ডা. জেহাদ খান এই অপপ্রচারের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।