উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান এফ-৭ বিজিআই বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শিশুটির নাম মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৪)। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১টা ৫২ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে এই ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১২ জনের মৃত্যু হলো।

মাহতাব মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে মাহতাব ছিল দ্বিতীয়। সে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে বাবা-মার সঙ্গে থাকত। কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় তার বাড়ি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, মাহতাবের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

মারুফুল ইসলাম জানান, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে মোট ৪৩ জন এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে। এর মধ্যে সাতজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, এই ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫৭ জন। এর মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৫ জন। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ১১ জন। শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন।

এ ঘটনায় আজ সকালে নিখোঁজ ও হতাহতের তালিকা জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫১ জন। নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন। হতাহতের তালিকা স্কুলের তদন্ত কমিটি হালনাগাদ করছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। এরপর ওই দিন রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। যে কারণে গণমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা ৩২ উল্লেখ করা হয়েছিল।