‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে সরকারি চাকরিজীবীর তথ্য নিচ্ছে সরকার’

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে চাকরি পাওয়া ৯০ হাজার সরকারি চাকরিজীবীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে যদি কেউ ভুয়া তথ্য দিয়ে চাকরি নিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ সংগ্রহ করে চাকরি ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা নিয়েছেন। এমনকি আদালতের মাধ্যমেও অনেক অযোগ্য ব্যক্তিকে সনদ দেওয়া হয়েছে, যা দুঃখজনক। অথচ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) নামের একটি নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ থাকা সত্ত্বেও এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে যুদ্ধাহত ৫ হাজার ৮৯৫ জন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৩৩৩ জন, বীরাঙ্গনা ৪৬৪ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৩৬৮ জন। সব মিলিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট নিয়োগপ্রাপ্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন বলে জানান তিনি। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা উল্লেখ করেন ৫৬০ জন।

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষায় এই যাচাই কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, কেবল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীরাই যেন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পান।