গাজীপুর চৌরাস্তায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে। যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত দুই দিনে পৃথক ঘটনায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনসহ ৫ জনকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) পঞ্চগড়ের ছাত্রদল কর্মী জাবেদ রহমান জয় (১৯) প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। তিনি পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল হকের ছেলে।
প্রতিপক্ষের ১০-১৫ জন তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
এরপর গতকাল গাজীপুরের চৌরাস্তায় শত শত মানুষের সামনে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে ছুরিকাঘাত ও গলাকেটে হত্যার ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
দেশজুড়ে সমালোচনার মাঝেই নাটোর লালপুরের গোপালপুরে সাইদুর রহমান (৩৫) কে প্রাইভেটকারে গলাকেটে হত্যা করা হয়। তিনি বাঁচার চেষ্টা করলেও সফল হননি, তার রক্ত প্রাইভেটকারে লেগে ছিল ও মরদেহ পাশে ছিল।
জেলার বনপাড়া- গোপালপুর আঞ্চলিক সড়কের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুলের সামনে যখন যুবকের গলাকাটা হয় তখন তার চিৎকারে সাধারণ মানুষ ছুটে যান। কিন্তু কেউই কিছু করতে পারেননি।
অপরদিকে মৌলভীবাজার শমশেরনগর রোডের ব্যবসায়ী ফয়জুর রহমান রুবেল (৪২) কে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি মৌলভীবাজার শহরের সদাইপাতি মার্কেটস্থ এফ রহমান ট্রেডিং-এর মালিক ছিলেন।
এরপর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের কতোয়ালী মডেল থানার পার্শ্ববর্তী ক্বীনব্রীজ এলাকার আলী আমজদের ঘড়িঘরের সামনে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ডালিম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ডালিম (৩৫) ময়মনসিংহের মেরেঙ্গা এলাকার লোকমান মিয়ার ছেলে।