লোকসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বরেণ্য সংগীতশিল্পী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ঢাকার তেজকুনি পাড়া মসজিদে ফরিদা পারভীনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নেয়া হবে ‘অচিন পাখি’ গানের স্কুলে। সকাল সাড়ে ১০টায় মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, যেখানে শিল্পী, কলাকুশলীসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরে সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নেয়া হবে কুষ্টিয়ায়। সেখানে পৌর কবরস্থানে মা–বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে ফরিদা পারভীনকে।
ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে লালনসংগীত চর্চা করেছেন। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাকে।
ফরিদা পারভীনের স্কুলজীবনের শুরুটা মাগুরায়। একাধিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে তিনি কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন।
লালনসংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। এর বাইরে ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। লালনশিল্পী হিসেবেই সুপরিচিত হন, তার কণ্ঠে বেশ কটি আধুনিক ও দেশের গান জনপ্রিয় হয়।