কৃষকদের আশ্বস্ত করে কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘দেশে সারের কোনও সংকট নেই, তাই আমি যতদিন আছি ততদিন সারের দাম বাড়ানো হবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি খাতের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পূর্বের সরকারের সময় থেকে রেখে যাওয়া সারের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে এবং দেশের চাহিদা অনুযায়ী সার আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের সার সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলায় সার আমদানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সার সরবরাহ ব্যবস্থায় পূর্বের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ এবং শাকসবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে ফলমূল উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে, যা দেশের কৃষিখাতকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।’
তিনি বলেন, বেশি দামে জ্বালানি কিনে সার উৎপাদন করা হলেও সারের দাম বাড়ানো হবে না। সার পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন বিএডিসিকে সার ক্রয়ে ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ঋণ প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বালাইনাশক বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। গত এক বছরে ২,৬৪৬.১১ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩টি পরিমার্জন ও ২টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।