আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পরই শাহজালাল বিমানবন্দরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

মাত্র কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের গৌরব পেয়েছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। কিন্তু সেই অর্জনের রেশ কাটতে না কাটতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ঘটলো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রায় ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট কার্যক্রম রাত ৯টা থেকে পুনরায় চালু করা হয় বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। 

ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে তাদের ৩৭টি ইউনিট। উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা দেয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিশেষ ইউনিটও। প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের উৎস বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

গত আগস্টে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি) পরিচালিত মূল্যায়নে শাহজালাল বিমানবন্দর সামগ্রিকভাবে ৯৩ শতাংশ নম্বর এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা (কার্গো সিকিউরিটি) ব্যবস্থায় শতভাগ নম্বর পায়। একই মূল্যায়নে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ৯৪ শতাংশ ও শতভাগ নিরাপত্তা নম্বর অর্জন করে।

গত ১২ অক্টোবর বেবিচকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ডিএফটির পরিদর্শকরা বেবিচকের নিরাপত্তা কার্যক্রমে ‘গভীর সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন।

২০১৬ সালে কার্গো নিরাপত্তা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য ঢাকাগামী কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তীতে বেবিচক আধুনিক স্ক্রিনিং ও ডিটেকশন প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। এই উন্নয়নই সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রাখে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরের কার্যক্রমে আংশিক প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। আগুনের সূত্র ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে বেবিচক ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।