শাপলা নয়, এনসিপিকে অন্য প্রতীক দেবে নির্বাচন কমিশন

বিধিমালায় ‘শাপলা’ প্রতীক না থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্ববিবেচনায় এনসিপিকে অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ইসি সচিব।

প্রতীক চূড়ান্ত হলে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে নিবন্ধন সনদ দেবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রতীক ইস্যুতেই দুটি ভিন্ন অবস্থানে এখনো অনড় এনসিপি ও নির্বাচন কমিশন। দলের প্রতীক হিসেবে শুরু থেকেই শাপলা চেয়ে আসছে এনসিপি। তবে শাপলা রাজনৈতিক দলের জন্য তৈরি করা প্রতীকের তালিকাতেই নেই বলে জানাচ্ছে ইসি।

শাপলার বদলে গেজেটকৃত ৫০টি প্রতীকের থেকে যেকোনো একটিকে বাছাই করতে এনসিপিকে চিঠিও দিয়েছে কমিশন। তালিকা থেকে প্রতীক বাছাই করতে এনসিপিকে সময়ও বেঁধে দিয়েছিল নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

তবে এনসিপি বলছে তাদের পছন্দের শাপলা প্রতীক না দেওয়া হলে নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত ৫০টি প্রতীকের অন্য কোনোটিই নেবে না তারা।

গতকাল রোববার কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এনসিপির জেলা-উপজেলা সমন্বয় সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এনসিপি নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে কাঙ্ক্ষিত শাপলা না পেলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে।

সারজিস আলম বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীকের জন্য যদি এনসিপিকে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি একই সঙ্গে এই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে। নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন নিজের সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতার প্রমাণ এখনো পর্যন্ত কথা ও কাজের মাধ্যমে দিতে পারছে না।’

তার বক্তব্যের একদিন পর ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বিধিমালায় শাপলা প্রতীক না থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন স্ববিবেচনায় এনসিপিকে অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানান তিনি।

এ সময় মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্রে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি। আখতার আহমেদ বলেন, ‘‎মোট ভোটকেন্দ্র- ৪২ হাজার ৭৬১টি। এতে মোট ভোট কক্ষ রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটকক্ষ ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি। আর মহিলা ভোট কক্ষ ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি। 

‎নতুন রাজনৈতিক দল ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চলতি সপ্তাহেই হবে বলে জানান ইসি সচিব।