রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পাশাপাশি তারা বিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষকদের এই আন্দোলন তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করা ও শাহবাগে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে হচ্ছে।
তিন দফা বাস্তবায়ন না করে উল্টো শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ।
রোববার (৯ নভেম্বর) সংগঠনের পক্ষে শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
গতকাল বিকেলে শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেডে শতাধিক শিক্ষক আহত হন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশ হামলা চালিয়েছে বিনা উসকানিতে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, শিক্ষকেরা বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে এগোলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
গতকালের ঘটনার পর আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নতুন কর্মসূচি দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, তাঁরা আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পাশাপাশি তাঁরা বিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী এক কোটি ছয় লাখের বেশি। মোট শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক আছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।
সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩ তম গ্রেডে বেতন পান। এখন সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকেরা। কিছুদিন আগে তাঁরা সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১ তম করার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। তবে সেখান থেকে সরে এসে এসেছেন। তাঁদের অপর দুটি দাবি হলো শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া।