অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ সমাজ সবসময়ই দেশের প্রতিটি সংকট ও পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান-প্রতিটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ে তরুণরাই ছিলেন অগ্রভাগে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলে তরুণরাই প্রথমে ছুটে গেছেন মানুষের পাশে।’
রোববার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম-২০২৫ এর উদ্বোধন ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘একটি জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি তার তরুণ প্রজন্ম। একারণেই সরকার তরুণদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ-তরুণীরা প্রায়ই নানা ধরনের ঝুঁকি ও সহিংসতার মুখোমুখি হন। বিশেষ করে নারী ও কিশোরীরা অনেক সময় যৌন হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হন।’ আত্মরক্ষার মৌলিক প্রশিক্ষণ তাদের আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা উভয়ই বৃদ্ধি করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণরা দেশের সংকটকালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পারবেন।’
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কিছু মহল থেকে এই প্রশিক্ষণের বিষয়ে নেতিবাচক কথা শোনা যায়, কিন্তু এই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণই একটি নাগরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি, যার উদ্দেশ্য হলো আত্মরক্ষা, মানবিকতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিকেএসপির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা, প্রশিক্ষণার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় বিকেএসপির মাধ্যমে সারাদেশের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৮ হাজার ৮৫০ জন যুবক ও যুবতীকে ১১৪টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে জুডো, কারাতে, তায়কোয়ানডো ও মৌলিক শুটিং বিষয়ে। ২৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ২ বছর ৬ মাসের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।