সিগন্যালস্ কোরের ভূয়সী প্রশংসা সেনাপ্রধানের

সেনাবাহিনীর কোর অব সিগন্যালস্ এর বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৫ আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) যশোর সেনানিবাসস্থ সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুল (এসটিসিএন্ডএস) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি।

সেনাবাহিনী প্রধান এসটিসিএন্ডএস-এ পৌঁছালে তাকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক); জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া এবং কমান্ড্যান্ট, এসটিসিএন্ডএস অভ্যর্থনা জানান।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত কোর অব সিগন্যালস্ এর অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং এ কোরের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী কোর অব সিগন্যালস্ এর সেনানীসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। 

সেনাবাহিনী প্রধান দেশ ও জাতি গঠনে কোর অব সিগন্যালস্ এর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি দেশমাতৃকার সেবায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সততা, সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে ব্রতী হয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশগঠনে কোর অব সিগন্যালস্ এর প্রশংসনীয় ভূমিকা অব্যাহত থাকবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, এমআইএসটি; ডিজি, ডিজিডিপি; জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ; কমান্ড্যান্ট, এসটিসিএন্ডএস; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সিগন্যাল ব্রিগেডের কমান্ডারগণ; সিগন্যাল ইউনিটসমূহের অধিনায়কগণ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর এসটিসিএন্ডএস এ কোর অব সিগন্যালস্ এর ১১তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। যশোর সেনানিবাসস্থ শহীদ আব্দুল হামিদ প্যারেড গ্রাউন্ডে যথাযোগ্য সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী কোর অব সিগন্যালস্ এর কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্টকে জ্যেষ্ঠতম অফিসার এবং জ্যেষ্ঠতম মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার “কর্নেল কমান্ড্যান্ট র‌্যাঙ্ক ব্যাজ” পরিয়ে দেন। এ সময় একটি চৌকষ দল নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্টকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন।