রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যা

আজ সারাদেশে আদালতে কালোব্যাজ ধারণ ও দোয়া

সকল আদালত, বিচারকের বাসস্থান ও যাতায়াতের সময় অবিলম্বে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী নিযুক্তসহ দুই দাবি পূরণের আশ্বাসে কলম বিরতি পালনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন। একইসঙ্গে রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সারাদেশে কালোব্যাজ ধারণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জুডিশিয়ারিল সার্ভিস এসোসিয়েশন সভাপতি আমিরুল ইসলাম।

আমিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আলোচনা সাপেক্ষে ঘোষিত কলম বিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি রোববার (১৬ নভেম্বর) সারাদেশে বিচারকদের কালোব্যাজ ধারণ ও রাজশাহীর ঘটনায় সকল আদালতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সারাদেশের বিচারকেরা একযোগে কলম বিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের প্রতিটি আদালত, বিচারকের বাসস্থান ও যাতায়াতের সময় অবিলম্বে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী নিযুক্ত করতে হবে। 

রাজশাহীর ঘটনায় বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবহেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং গ্রেফতার করা আসামিকে আইন বহির্ভূতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে অপেশাদারিত্ব প্রদর্শনের দায়ে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে রোববার থেকে সারাদেশের বিচারকেরা কলম বিরতি পালনের হুঁশিয়ারি দেন। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহী শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় ওই বিচারকের বাসায় যান গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লিমনের ছুরিকাঘাতে ওই বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও (৪৪) আহত হন। এসব ঘটনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে লিমনও আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান। এই মামলায় আসামি লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।